আমি সোনালী মিস্ত্রি

Hello, আমি সোনালী মিস্ত্রি আজকে আমি তোমাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করব তার আগে সবাইকে বলি যে যেখান থেকে আমার লেখাটা পড়বে দেখবে কমেন্ট করে জানাবে। তো চলো শুরু করি আমার জীবন কাহিনী আমি একটা ছোট্ট গ্রামে বসবাস করি আর গ্রাম মানে কি তা তো তোমরা সবাই জানো। এখানে অনেক কিছুই হয় যেমন ধরো কেউ কারো উন্নতি দেখতে পারে না কেউ ভালো কিছু করলে তা কারো সহ্য হয় না এক কথায় বলা যেতে পারে গ্রামের কিছু কিছু মানুষদের মানসিকতা এমনই হয় যে তোমার ভালোটাও দেখতে পারবে না আর তোমাকে ভালো কিছু করতেও দেবে না। তো তেমনই আমার সাথে হয়েছিল এখনো হয় এখনো তার সাথে লড়াই করে চলছি আর এভাবেই চলব বলা যেতে পারে আমি একটা গ্রামের মেয়ে তাই আমার বাইরে গিয়ে কিছু করা নিজেকে seldipended করা কারণ নজরেই ভালোভাবে দেখা হয়নি তাই অনবরত নানান কথা বিচ্ছিরি গালিগালাজ এবং কি বাড়ির মানুষকেও তাদের মতো করে মোটিভেট করে এবং বাড়ির মানুষের কাছে আমাকে মার খেতে হয়েছে বাড়ির লোক অন্যের কথা শুনে আমাকে বাড়ি থেকে বের করেও পর্যন্ত দিয়েছিল তার একটাই কারণ আমার বাড়ির লোক সব সময় বলতো তুই আমাদের মেয়ে আমাদের বাড়িতে থাকবি আমাদের খাবি আর লোকে নানান কথা বলবে আর সেগুলো আমাদের শুনতে হবে এটা কোনদিনই সম্ভব না। মেয়ে মেয়ের মত থাক। বাইরে যেতে হবে না তো এরকম অনেক কিছু হয়েছিল আমার সাথে। আমি মন থেকে ভেঙ্গে পড়েছিলাম যে আমি কি করবো আমি মেয়ে বলে কি আমি কিছু করতে পারি না তবে একটাই কথা মাথায় সবসময় ঘুরতো যে আমাকে কিছু করতে হবে আমি মেয়ে বলে পিছিয়ে থাকব এটা কোনদিনই সম্ভব না। মেয়ে বলে যে কিছু পারে না সেটা আমাকে দেখাতেই হবে তাই আমি সবার কথা অবাধ্য হয়ে নিজের দায়িত্ব নিজেই নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম যে আমাকে কিছু করে দেখাতে হবে তার জন্য ও হ্যাঁ তার মধ্যে তো একটা কথা আমি বলতেই ভুলে গেছিলাম আমার গ্রামের নাম তপন (করদহ) তারপরে তোমাদের বলি কি হয়েছিল সেই গ্রামের ছোট্ট মেয়েটা যখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল সবার কথা অবাধ্য হয়ে মেয়েটার অনেক কষ্ট হতো অনেক ব্যাথা লাগত অনেক পরিশ্রম করতে হতো কিছু শেখার জন্য অল্পবয়স কি করে করবে তার কাছে তো টাকা ছিল না। কিছু শেখার মত তাই সে যেদিন করে তার ক্লাস থাকত না সেদিন করে সে মাঠে গিয়ে কাজ করত এবং লোকের কাছে কাজ চাইতো ছোট বলে তাকে কেউ কাজ দিত না আর বলতো তুই তো বাচ্চা মেয়ে তুই কি কাজ করবি? যা বাড়ি যা গিয়ে পড়াশোনা কর তোর এটাই কাজ অনেকের হাত পা ধরে অনেকের কাছ থেকে কাজ চাইতাম আর তারপরে কাজ করার পর যে টাকাটা পেতাম সে টাকাটা দিয়ে আমি সেল ডিফেন্স (কোরিয়ান মার্শাল আর্ট তাইকোন্ডো) শিখতাম খুব কষ্ট হতো যেদিন করে ক্লাস থাকত না সেদিন করে কাজ করা আর তারপরে গিয়ে ক্লাস করা অনেক কষ্ট ছিল। সেই সময়টা তারপরও বাড়িতে এসে অন্যের কথা শুনে বাবা মায়ের কাছে বোকা খাওয়া মার খাওয়া না খেয়ে থাকা যখন ক্লাসে যেতাম তখন খাওয়ার দিত না বলত না খেয়ে কর যা করবি কর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যা এইসব করা ঠিক না তুই মেয়ে তুই কেন করবি অনেক কিছুই জীবনে দেখতে হয়েছে কিন্তু তারপরও আমি বলব আমি সফল কেন তার কারণ যখন আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছিলাম তখন আমি জানতাম না যে আমি জীবনে কি করব তবে যখন বেরিয়ে গেছিলাম তার পরে যখন ডিসাইড করেছিলাম যে হ্যাঁ আমাকে করতে হবে আমাকে পারতেই হবে তারপরে যখন আমি ডিস্ট্রিক্ট লেভেলে গোল্ড মেডেল লিস্ট হই এবং আমার যথারীতি যখন পেপারে নাম বের হয় তখন আমার বাবা মায়ের গর্ভে বুক ভরে যায় তারপর থেকে শুরু হয় আমার নতুন ভাবে পথ চলা তারপরে একের পর এক স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ ন্যাশনাল লেভেল নর্থ বেঙ্গল খেলা ডিস্ট্রিক্ট লেভেল স্টার্ট হয় একের পর এক চাম্পিয়ন হতেই থাকে আর নিজের ফ্যামিলি থেকে বকা খাওয়া রেহাই পেয়ে যাই তার একটাই কারণ বাবা মা যখন দেখল যে মেয়েটা এত কষ্ট করে এতদূর পৌঁছে গেছে আর আমরা তাকে আটকে রাখতাম অন্যের কথা শুনে তাই বাবা মা এখন আর কিছু বলে না কিন্তু ওই যে একটা কথাই আছে না গ্রামে থাকি। তো কিছু লোক তো আছেই যারা সব সময় বলবে তো এখনো বলে। আরো অনেক কথা আছে অবশ্যই তোমাদের সাথে শেয়ার করব তবে আজকের জন্য এতটুকুই কারণ সবটাই যদি তোমাদের বলে দেই বাকি তো আর থাকবেনা না শোনার মত তো একটু ওয়েট করো আস্তে আস্তে আরো জানতে পারবে তোমাদের আরো ডিটেইলসে বলবো যাতে তোমরাও আমার মত self dependent হও জীবনে অনেক কিছু শেখার বাকি আছে . ……… সবাই ভালো থাকবে সুস্থ টাটা☺️

Related Articles

নারীর ক্ষমতায়ন

ভাস্বতী মজুমদার “যে রাঁধে সে চুল ও বাঁধে! – শুধুই প্রবাদ নাকি সত্যি? কী মনে করে আপামর জনতা? প্রাচীন যুগ থেকে চলে আসা এক অলিখিত নিয়ম-…

Responses

Your email address will not be published. Required fields are marked *